সহায়ক তথ্যাবলী

০১. চিকিৎসার মেয়াদ কতদিন ?

গাজীপুর ও যশোর পুরুষ কেন্দ্রের চিকিৎসা মেয়াদ ৬ মাস, মুন্সিগঞ্জ পুরুষ কেন্দ্রের চিকিৎসা মেয়াদ ৩ মাস এবং নারী কেন্দ্রের ৩টি চিকিৎসা প্যাকেজ অনুযায়ী মেয়াদকাল ১ মাস, ২ মাস ও  ৩ মাস। তবে উক্ত চিকিৎসা মেয়াদ শেষে অভিভাবক অতিরিক্ত সময় ফলোআপের জন্য রাখতে পারবেন। বিভিন্ন গবেষনার ফলাফল ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা যায় যে, স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসায় রিল্যাপ্স বা পুনঃ আসক্তির সংখ্যা অনেক বেশি ঘটে থাকে। বিধায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক  প্রেক্ষাপটের কথা  বিবেচনা করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন উপরোক্ত চিকিৎসার মেয়াদ নির্ধারণ করেছে।

০২. ভর্তির নিয়মাবলী কি কি ?

যে কোন ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রের সকল ধরনের মাদক নির্ভরশীল নারী ও পুরুষ এই কেন্দ্রে ভর্তি হতে পারে। তবে ভর্তি  ইচ্ছুক ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যদের কেন্দ্রের নিয়ম-কানুন মেনে চলা ও মেয়াদকাল উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিকে কেন্দ্রে রাখার সম্মতি থাকতে হবে। রোগী ভর্তির  ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক  অর্থাৎ ১৮ থেকে ৫০ বৎসর পর্যন্ত নেওয়া হয়। ভর্তির  সময়ে  যিনি  অভিভাবক  হবেন তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।

০৩. কিভাবে চিকিৎসা করা হয় ?

ভর্তি হবার পরে প্রথম ১৪ দিন মাদক প্রত্যাহারজনিত উপসর্গ উপশমের জন্য চিকিৎসা দেয়া হয় যাকে নির্বিষকরন বা ডিটক্সিফিকেশন বলা হয়। রোগীর মাদক ব্যবহার সম্পর্কিত ইতিহাস জেনে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এসময়  রোগীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিশ্রামের উপযোগী পরিবেশে রাখা হয়।এছাড়া জরুরী স্বাস্থ্য সেবার জন্য হাসপাতালে বা ক্লিনিকে পাঠানো হয়।

০৪. চিকিৎসার ব্যয় কত ?

গাজীপুর পুরুষ কেন্দ্রে মাসিক  চিকিৎসা ফি ২৩,০০০/-টাকা (ভর্তির সময় ২ মাসের চিকিৎসা ফি ৪০,০০০ টাকা, মেডিকেল চেকআপ ৩১৫০/-  ও প্রসাধনীর জন্য ২০০০/- টাকা সর্বমোট ৪৫,১৫০ টাকা অগ্রীম দিতে হবে)। যশোর পুরুষ কেন্দ্রের চিকিৎসা ফি ১৭,০০০/- টাকা (ভর্তির সময় ২ মাসের চিকিৎসা ফি ৩০,০০০/- টাকা, মেডিকেল চেকআপ ৩০০০/- টাকা ও  প্রসাধনীর জন্য ২০০০/- টাকা, সর্বমোট ৩৫০০০/- টাকা ভর্তির সময়ে অগ্রীম দিতে হবে)। মুন্সিগঞ্জ পুরুষ কেন্দ্র মাসিক চিকিৎসা ফি সিংগেল বেডের রুম ৬০,০০০/- টাকা, ডাবল বেডের রুম ৪৫,০০০/- এবং ৩ থেকে ৪ বেড সম্বলিত রুম ৩৫,০০০/- টাকা (ভর্তির সময় যেমন- সিংগেল বেড হলে ৬৫,০০০/- টাকা সাথে মেডিকেল চেকআপ খরচ ৩৫০০/- টাকা ও  প্রসাধনীর জন্য ২০০০/- টাকা অগ্রীম দিতে হবে)। ঢাকা নারী কেন্দ্রে ১ মাসের প্যাকেজে চিকিৎসা ফি ৪০,০০০/- টাকা, ২ মাসের প্যাকেজে চিকিৎসা ফি ৭০,০০০/- টাকা ও ৩ মাসের প্যাকেজে ৯০,০০০/- টাকা । নারী কেন্দ্রে কেবিনে সকল প্যাকেজের ক্ষেত্রেই চিকিৎসা ফি ৫০,০০০/- টাকা এবং ভর্তির সময়ে চিকিৎসা প্যাকেজ অনুযায়ী ১ মাসের চিকিৎসা ফি ও ডোপ টেস্টের খরচ ১৫০০/- টাকা সহ অগ্রীম দিতে হয়। এছাড়া অন্যান্য খরচ যেমন- রোগীর ব্যবহৃত কাপড়, প্রসাধনী ইত্যাদি সকল ব্যবহার্য জিনিষ, প্যাথলজিকাল টেস্ট, ঔষধপত্র, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো ফি কিংবা বিশেষ কোন চিকিৎসার জন্য (যেমন- ডেন্টিস্ট দেখানো) ক্লিনিক বা হাসপাতালের খরচ অভিভাবককে বহন করতে হবে।

০৫. এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ?

আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্র চারটি – গাজীপুরে নিজস্ব পাঁচ বিঘা জায়গায় ৪ তলা ভবন, যশোরে ৮ বিঘা জমির ওপর ৫ তলা নিজস্ব ভবন, মুন্সিগঞ্জে নিজস্ব ১বিঘা জমির উপরে ৪র্থ তলা বিশিষ্ট ভবনে লিফটের আধুনিক সুবিধা সম্বলিত নিজস্ব ভবন এবং ঢাকায় শ্যামলীতে নারীদের চিকিৎসা কেন্দ্রটি ৭ তলা নিজস্ব ভবনে অবস্থিত। মাদকনির্ভরশীল ও মানসিক রোগীর চিকিৎসার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে। সার্বক্ষনিক আইপিএস ও জেনারেটর এর সুবিধা রয়েছে। গাজীপুর, যশোর ও মুন্সিগঞ্জ কেন্দ্রের চারদিকে ৭ ফুট উঁচু দেয়াল রয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও অন্য যে কোন জরুরি অবস্থার জন্য সার্বক্ষনিক পর্যাপ্ত স্টাফসহ সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। রোগীকে বাইরে নেয়ার জন্য গাজীপুর, যশোর ও মুন্সিগঞ্জ কেন্দ্রের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আছে।

০৬. চিকিৎসা মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার আগে বাড়িতে যাবার কোন সুযোগ আছে কিনা ?

চিকিৎসা  কেন্দ্রের নির্ধারিত চিকিৎসা মেয়াদ পূর্ণ হবার পূর্বে রিলিজের কোন সুযোগ নেই। বিশেষ মানবিক বিষয় যেমন নিকট আত্মীয়র মৃত্যু বা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরন ইত্যাদি বিষয়ে ছাড় দেয়া হয়। যদি কেউ চিকিৎসা মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই চলে যেতে চায় তবে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত মেয়াদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে হবে। গাজীপুর ও যশোর কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ৫ মাস ১০ দিন চিকিৎসার মেয়াদ পূর্ন হবার পর ৩ দিনের জন্য (ঘরফেরা) বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে।

০৮. কেন্দ্রে কাউন্সেলিং সার্ভিস প্রদান করা হয় কিনা ?

মাদকনির্ভরশীল ও মানসিক সমস্যা এই দুই ধরণের রোগীর চিকিৎসায় কাউন্সেলিং এর ভুমিকা গুরুত্ব। আমাদের সকল কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত ও কাউন্সেলর রয়েছে। এই সকল কাউন্সেলর এর অধীনে রোগীকে একক কাউন্সেলিং, দলীয় কাউন্সেলিং ও দম্পতি কাউন্সেলিং প্রদান করা হয়।

০৭. মানসিক চিকিৎসার জন্য কি সেবা রয়েছে ?

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সকল কেন্দ্রে মাদকনির্ভরশীল ও মানসিক সমস্যা এই দুই ধরণের রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। সব মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তিই মানসিক রোগী নয় আবার কখনো দেখা যায় মানসিক সমস্যার সাথে রোগীর মাদকনির্ভরশীলতার সমস্যাও ডায়গোনেসিস হয়৷ রোগীর সমস্যা নিরুপন সাপেক্ষে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে কাউন্সেলর, সার্বক্ষনিক মেডিকেল অফিসার ও  খন্ডকালীন মনো-চিকিৎসক রয়েছেন। খন্ডকালীন মনো-চিকিৎসক প্রয়োজন অনুসারে মানসিক বা মনোচিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

০৮. পরিবারের সদস্যদের জন্য কোন কর্মসূচী রয়েছে ?

মাদক নির্ভরশীল ও মানসিক সমস্যা উভয় চিকিৎসায় পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ। আর বেশিরভাগ রোগীর মাদক নেয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অনেক মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির পরিবারে বিচ্ছেদ, পারিবারিক বিশৃঙ্খলা ও সম্পর্কের জটিলতা রয়েছে। তাই চিকিৎসা চলাকালীন সময় ও চিকিৎসা পরবর্তী পরিচর্যা ও ফলোআপের জন্য পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য মাদক নির্ভরশীল চিকিৎসা সম্পর্কিত ধারণা, রোগীদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ, চিকিৎসা পরবর্তী ফলোআপ ও সহায়তার জন্য নিয়মিত পারিবারিক সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়া পারিবারিক কাউন্সেলিং সেবা দেয়া হয়। আর পরিবারের সাথে ব্যক্তির দেখা করার দিন অর্থাৎ ফ্যামিলি ভিজিটিং ডে-এর ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যরা কেন্দ্রের স্টাফদের কাছ থেকে ফোনের মাধ্যমে রোগীর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোজ-খবর নিতে পারেন।

০৯. বিনোদনের জন্য কি ব্যবস্থা রয়েছে ?

কেন্দ্রে রোগীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সর্বপরি বিকাশ লাভের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে। গাজীপুর, যশোর ও মুন্সিগঞ্জ কেন্দ্রে ইনডোর ও আউটডোর বিনোদনের ব্যবস্থা আছে। আউটডোর বিনোদনের মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদির জন্য কেন্দ্রে সুবিশাল মাঠ আছে। ইনডোর বিনোদনের জন্য দাবা, লুডু ও ক্যারাম রয়েছে। এছাড়াও গাজীপুর, যশোর ও মুন্সিগঞ্জ কেন্দ্রে জিমনেসিয়াম আছে। নারীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ইনডোর গেম দাবা, লুডু, ক্যারাম এছাড়াও হাউজে সাপ্তাহিক ও মাসিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকল কেন্দ্রে সংবাদপত্র, বইপড়া, টিভি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে এবং সপ্তাহে একদিন শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন ছাড়াও বার্ষিক ক্রীড়া ও গেট-টুগেদার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

১০. চিকিৎসা পরবর্তী পরিচর্যা পুনঃ আসক্তি প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা রয়েছে ?

পুনঃআসক্তি প্রতিরোধে চিকিৎসা পরবর্তীতে কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত থাকা রিকভারীর জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ন। রোগীর রিলিজের সময় চিকিৎসা পরবর্তী বিষয়ে কেন্দ্র থেকে গাইড লাইন দেয়া হয়। পূর্ণমেয়াদ চিকিৎসার পর আউটডোর ও ইনডোর ফলোআপের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও পরবর্তী পরিচর্যার জন্য কেন্দ্রে নারকোটিকস এনোনিমাস (এন.এ) প্রোগ্রাম আছে। এছাড়া কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রাখা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তাদের উৎসাহ দেয়া হয়। চিকিৎসার পর এখানে রোগীরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করে সেল্প-হেল্প গ্রুপ গঠন করতে পারে। নারী কেন্দ্রের ‘‘আয়না’’ নামে একটি সেল্প-হেল্প গ্রুপ আছে। এই গ্রুপের সদস্যগন নিয়মিত সেল্প-হেল্প গ্রুপ মিটিং করেন ও বিভিন্ন গনসচেতনতামূলক প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেন।

১১. কতবার খাবার পরিবেশন করা হয় ?

রোগীদের পুষ্টিগত দিক লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রের খাবার মেন্যুতে উন্নতমানের খাবার দেয়া হয়। কেন্দ্রে খাবারের রুটিন পাঁচবার এর মাঝে- সকালের নাস্তা,দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার এছাড়াও ২ বার নাস্তা দেয়া হয়। তবে ভর্তি পরবর্তী প্রথম ১৪ দিন কেন্দ্রে নিয়মিত খাবারের সাথে পুষ্টিবিদের পরামর্শনুযায়ী বিশেষ খাবার দেয়া হয়। এছাড়াও বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন- রোগীর ওজন, শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি এ সকল সমস্যার জন্য রোগীর যদি বিশেষ কিংবা অতিরিক্ত খাবারের প্রয়োজন থাকে তবে তা বিবেচনা সাপেক্ষে ডাক্তার ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রের নির্ধারিত মেন্যুর বাইরে রোগীকে অতিরিক্ত খাবার দেয়া হয়।

১২. পরিবারের সদস্যরা কি রোগীর সাথে দেখা করতে পারে ?

ভর্তির একমাস পর থেকে গাজীপুর ও যশোর কেন্দ্রে পারিবারিক সাক্ষৎ এর দিন প্রতি শুক্রবার। ঢাকা নারী কেন্দ্রে ভর্তির একমাস পর থেকে প্রতি শনিবারে পরিবারের সদস্যগন রোগীর সাথে দেখা করতে পারেন। এবং মুন্সিগঞ্জ কেন্দ্রে রোগী ভর্তির ২১ দিন পর থেকে প্রতি শনিবারে রোগীর পরিবার রোগীর সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

১৩. চিকিৎসাকালীন সময়ের রোগীকে কি বাইরে নেয়া যাবে ?

রোগীকে কেন্দ্রের বাইরে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে জরুরী কোন বিষয়ে লিখিত অনুমতির মাধ্যমে শুধুমাত্র অভিভাবক নিতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর পুনরায় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। রোগী কেন্দ্রের বাইরে নেয়ার পূর্বে সকল অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

১৪. পুনর্বাসনের জন্য কোন চাকুরির সুযোগ রয়েছে কি ?

চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকুরী করার মানসিকতা এই সকল বিষয় বিবেচনা করে চাকুরির সুযোগ প্রদান করা হয়।

১৫. বাইরে থেকে রোগীকে খাবার দেয়া যাবে কি না ?

বাইরে থেকে কোন খাবার দেয়া যাবে না। তবে কোন উৎসব বা বিশেষ আয়োজনে ( যেমন-ঈদ উৎসব) কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে কেন্দ্রের অবস্থানরত সবার জন্য খাবার দেয়া যাবে।

১৬. কেউ অসুস্থ হলে তার জন্য কি আলাদা খাবার দেয়া হয় ?

কেউ অসুস্থ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ খাবার দেয়া হয়।

১৭. রোগীর ফলোআপের ব্যবস্থা আছে কিনা এবং সময় কতদিন ?

সকল কেন্দ্রে নির্দিষ্ট চিকিৎসা মেয়াদ পরবর্তী ফলোআপের ব্যবস্থা আছে। সাধারনত পুরুষদের কেন্দ্রে চিকিৎসা পরবর্তী ৩ মাস ফলোআপ করা হয়। 

১৮. কি ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয় ?

মাদক নির্ভরশীলতার চিকিৎসা একটি জটিল, দীর্ঘমেয়াদী ও সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় মাদক নির্ভরশীলতা অনিরাময়যোগ্য রোগ। কিন্তু চিকিৎসার পরবর্তী পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করলে মাদকমুক্ত থাকা সম্ভব। রোগীকে প্রথম ১৪ দিন ডিটক্সিফিকেশন করার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় নেয়া হয়। এখানে থেরাপিউটিক কমিউনিটি, নারকোটিকস্ এনোনিমাসের ১২ ধাপ ও মনোসামাজিক শিক্ষা এবং কাউন্সেলিং ও গ্রুপ থেরাপির মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

১৯. এইচ আইভি পরীক্ষা করা হয় কি না ?

কেন্দ্রের নিজস্ব  ল্যাবে রোগীর সম্মতি সাপেক্ষে এইচ আইভি পরীক্ষা করা হয় ৷ এক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

২০. ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাউকে ভর্তি করা হয় ?

বেশিরভাগ রোগীর ভর্তির ইচ্ছা প্রাথমিকভাবে থাকে না। রোগীর অভিভাবক যদি সম্মত থাকেন এবং চিকিৎসা কেন্দ্রের নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত কেন্দ্রে রাখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে তাহলে ভর্তি করা হয়। এক্ষেত্রে রোগীকে কেন্দ্র পর্যন্ত অভিভাবকের নিজ দায়িত্বে নিয়ে আসতে হবে কারন রোগীকে কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নিজস্ব কোন ব্যবস্থা নেই।

২১. কেন্দ্রে রোগীদেরকে সিগারেট দেয়া হয় ?

আমাদের কেন্দ্র ৪টি সম্পূর্ণ ধুমপান ও তামাকমুক্ত। রোগীদেরকে কেন্দ্রে কোন ধরনের তামাক জাতীয় পণ্য সরবরাহ করা হয় না।

২২. রোগী কি ধরনের মাদক নেয় এটা পরীক্ষা করার কোন ব্যবস্থা আছে কি ?

রোগীর কি ধরনের মাদকের সমস্যা আছে তা জানার জন্য ডোপ টেস্ট এর ব্যবস্থা আছে। আমাদের সকল কেন্দ্রে রোগী ভর্তির পরে ডোপ টেস্ট করা হয়। তবে উল্লেখ্য যে একটি নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি রোগী মাদক নিয়ে থাকে তবেই ডোপ টেস্টের পরীক্ষার রিপোর্টে পজেটিভ আসে না হলে নেগেটিভ আসতে পারে। এছাড়াও রোগীর অভিভাবক চাইলে ভর্তির পূর্বের ডোপ টেস্ট করাতে পারবেন। উল্লেখ্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সকল মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আউটডোর ডোপ টেস্ট করানো হয়।

২৩. ধর্মীয় চর্চার সুযোগ আছে না ? 

কেন্দ্রে সকল ধর্মালম্বীর জন্য নিয়মিত ধর্মীয় কার্যক্রমের রুটিন আছে যেমন- মুসলিমদের জন্য ৫ ওয়াক্ত নামায। এছাড়াও অভিজ্ঞ ধর্মীয় শিক্ষক দ্বারা ধর্মীয় চর্চা ও শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ রয়েছে।

২৪. চিকিৎসা কেন্দ্রের অবস্থান ঠিকানা

আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা পুনর্বাসন কেন্দ্র গাজীপুর

মিয়াবাড়ি সড়ক, গজারিয়া পাড়া, রাজেন্দ্রপুর, গাজীপুর।

মোবাইল: ০১৭১৫৪০৭৮৪৩, ০১৭৭২৯১৬১০২।

Email: dtcgazipur@amic.org.bd
Facebook: https://www.facebook.com/AMDTCG
Google Maps : https://goo.gl/maps/PBapnmCyxpRNEsCz5

আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা পুনর্বাসন কেন্দ্র যশোর

বড় ভেকুটিয়া, আরবপুর ইউনিয়ন, যশোর সদর,যশোর ।

মোবাইল: ০১৭৮১৩৫৫৭৫৫

E-mail: dtcjashore@amic.org.bd
Facebook: https://www.facebook.com/AMDTCJ

Google Maps : https://goo.gl/maps/mw5CkPqY4iUrnU5t7

আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযতœ কেন্দ্র           

আলমপুর, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ।

মোবাইল:০১৮১০১১৩৬৪১

E-mail: monojotno@amic.org.bd
Facebook: https://www.facebook.com/MonojotnoKendro

Google Maps : https://goo.gl/maps/4aWV76MX1vdieK3D8

আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা পুনর্বাসন কেন্দ্র

হোল্ডিং নং -১৫২, বল্ক-ক, রোড নং-৬, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা।

মোবাইল: ০১৭৭৭৭৫৩১৪৩, ০১৭৪৮৪৭৫৫২৩

Email: amic.fdtc@gmail.com
Facebook: https://www.facebook.com/AMFDTC

Google Maps : https://goo.gl/maps/AGryPK1H1mskEJEX6