চিকিৎসা ধরণ ও পদ্ধতি

চিকিৎসা ধরণ ও পদ্ধতি : মাদক নির্ভরশীলতাকে বলা হয় একটি জটিল পুনঃ আসক্তিমূলক মস্তিস্কের রোগ বা A chronic relapsing brain disease যা বারবার হতে পারে। অর্থাৎ একজন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি চিকিৎসা গ্রহণের পরেও একাধিকবার মাদক গ্রহণ শুরু করতে পারে। সঠিক চিকিৎসা ও পরিচর্যার মধ্যদিয়ে একজন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে এবং মাদক থেকে দূরে থাকতে পারে। মাদক গ্রহণজনিত রোগকে অনেক সময় ডাইবেটিস বা হৃদরোগের সাথে তুলনা করা হয় কারণ যে ব্যক্তির একবার ডাইবেটিস বা হৃদরোগ হয় তার সারা জীবন কিছু বিধি-নিষেধ বা ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকতে হয়। ঠিক তেমনি মাদক নির্ভরশীলতার চিকিৎসার পরেও রোগীকে কিছু বিধি-নিষেধ বা ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকতে হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে রোগী পুনরায় মাদক গ্রহণ শুরু করে।
মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসায় বিভিন্ন দেশে একাধিক পদ্ধতি প্রচলিত আছে বা অনুসরণ করে থাকে। একসময় মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা ছিল বিচ্ছিন্ন। কিছু চিকিৎসা কেন্দ্র ঔষুধ নির্ভর চিকিৎসাকে গুরুত্ব প্রদান করত। আবার কোন কোন কেন্দ্র ঔষুধ বর্জিত পুনর্বাসন কেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করত। কাউন্সেলরা শুধু কাউন্সেলিং ভিক্তিক চিকিৎসাকে গুরুত্ব প্রদান করত। এসমস্ত চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক সময় রোগীর সমস্যা কেন্দ্রিক না থাকায় অনেকাংশেই চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয়নি।
একজন মাদক নির্ভরশীলকে মাদকমুক্ত করতে প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা। কারণ একজন মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দীর্ঘদিন মাদক গ্রহণের কারণে অনেকেরই আচরণ ও মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটে থাকে বিধায় তাকে মাদকমুক্ত থাকতে হলে তার আচরণ ও চিন্তা- চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন। আচরণ পরিবর্তন একটি কষ্টসাধ্য বিষয় হলেও মাদকমুক্ত থাকার সাথে আচরণ পরিবর্তন গভীরভাবে জড়িত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর চিন্তা ও আচরণ পরিবর্তনকে গুরত্বের সাথে মাদক চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত করেছে। এজন্য চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত একজন নির্ভরশীল ব্যক্তির দৈহিক চিকিৎসার পাশাপাশি আচরণ পরিবর্তন, নৈতিক গুণাবলী শিক্ষা প্রদান এবং এমনভাবে সুস্থ করে তোলা যাতে সে জীবনের সাধারণ সমস্যার মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়। রোগীদের আচরণ পরিবর্তন ও সমস্যা মোকাবেলার জন্য তাদের জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ খুবই জরুরী। যা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া ছাড়া সম্ভব নয়। এছাড়া রোগীরা জীবনের ভুলক্রুটিগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য, পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যক্তিগত মানসিক উৎকর্ষতা সাধনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ কাউন্সেলরের অধীনে কাউন্সেলিং গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মিশন পরিচালিত কেন্দ্রের চিকিৎসা পদ্ধতি সমূহ : মিশন মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসায় বৈজ্ঞানিকভাবে সফল প্রমাণিত হয়েছে এমন পদ্ধতি সমূহ অনুসরণ করে থাকে যেমন-

অ্যাসেসমেন্ট (রোগ নির্ণয়) : যে কোন চিকিৎসায় অ্যাসেসমেন্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোগ নির্ণয় ছাড়া রোগের পরিপূর্ণ চিকিৎসা কখনো সম্ভব না। পরিপূর্ণ ও ফলোপ্রসু চিকিৎসা পেতে হলে রোগীর সমস্যা ও সমস্যা সম্পর্কিত সার্বিক তথ্য সেবাপ্রদানকারী বিশেষজ্ঞের জানা অত্যন্ত জরুরী । মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির পরিপূর্ণ চিকিৎসায়ও সঠিক অ্যাসেসমেন্ট বা সমস্যা নির্ণয় অত্যন্ত জরুরী।
তাই মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির সঠিক চিকিৎসার লক্ষ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও স্বীকৃত অ্যাসেসমেন্ট ফরমের মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কাউন্সেলর দ্বারা ব্যক্তির রোগ / সমস্যা সম্পর্কিত অ্যাসেসমেন্ট করা হয়। উল্লেখ্য এখানে শুধু মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির তথ্য নেয়া হয় না তার পরিবারের কাছ থেকেও তার বিষয়ে তথ্য নেয়া হয় কারণ একটি সঠিক ও বাস্তবধর্মী চিকিৎসা পরিকল্পনায় ব্যক্তি ও তার পরিবারের তথ্য অত্যন্ত জরুরী । কাউন্সেলর অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাগত সম্পর্ক বজায় রেখে এই অ্যাসেসমেন্ট কাজটি করে থাকেন।
চিকিৎসা পরিকল্পনা: রোগীর এ্যাসেসমেন্ট এরপর কাউন্সেলর এবং রোগী যৌথভাবে চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরী করেন। পরবর্তীতে কাউন্সেলর, রোগী এবং অভিভাবকসহ চিকিৎসা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। চিকিৎসাকালীন সময়ে প্রয়োজনে সবার মতামত অনুসারে চিকিৎসা পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়।
ডিটক্সিফিকেশন (নির্বিষকরণ) ও শারিরীক চিকিৎসা: ভর্তির প্রথম ১৪ দিন ডিটক্সিফিকেশন বা নির্বিষকরণের সময় ধরা হয় এই সময় রোগী সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকে। শারিরীক চিকিৎসা শুধু উইথড্রল ম্যানেজমেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । মিশন ভর্তি পরবর্তী সময়ে রোগীর মানসিক ও শারিরীক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। ডিটক্সিফিকেশন বা নির্বিষকরণের মেয়াদ ১৪ দিন হলেও কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম ঘটে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা অব্যাহত থাকে।

দীর্ঘদিন মাদকদ্রব্য নেওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান প্রবেশ করে। মূলত এই রাসায়নিক উপাদান গুলো ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ক্ষতি হয় । অর্থাৎ এই সময়ে তার শরীর থেকে মাদকের রাসায়নিক উপাদান গুলো আস্তে আস্তে রেব হওয়া শুরু করে এবং এ সময়ে ব্যক্তির মধ্যে মারাতœক মাদক প্রত্যাহারজনিত উপসর্গ যেমন: অস্থিরতা, আচরণের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় তখন তার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতার প্রয়োজন হয় ।

তাই আমরা সেবাগ্রহীতার মাদক প্রত্যাহারজনিত উপসর্গ মাথায় রেখে আমরা ভর্তির পর থেকেই প্রত্যেক সেবাগ্রহীতাকে এই ডিটক্সিফিকেশন সময়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও কাউন্সেলর দ্বারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থা করি যাতে এই সময় সে ভালোভাবে তার অস্থিরতা ও কষ্টের সাথে মোকবেলা করতে পারি। উল্লেখ্য এই সময়ে তাদের ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়।
মানসিক রোগের চিকিৎসা : সব মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি (পুরুষ/নারী) মানসিক ভাবে সমস্যাগ্রস্থ নয়। তবে মাদক নির্ভরশীলদের মধ্যে মানসিক রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মানসিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা খুবই জরুরী। এজন্য মিশন পরিচালিত কেন্দ্রসমূহে মাদক নির্ভরশীল বিষয়ে দক্ষ মনো-চিকিৎসকের অধীনে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। মানসিক রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে বিধায় কাঙ্খিত সাফল্য পেতে ধৈর্য্য ধারণ করতে হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষুধ সেবন বা বন্ধ করতে হবে।
কাউন্সেলিং সেবা : মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যাতে সে চিকিৎসার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারে ও মাদকমুক্ত থাকার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এজন্য মিশন রোগীর মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক কাউন্সেলিং প্রদান করে থাকে এবং এই কাউন্সেলিং শুধুমাত্র চিকিৎসাকালীন সময়ের জন্য নয় চিকিৎসা পরবর্তীতেও এর ধারাবহিকতা বজায় রাখতে পরামর্শ প্রদান করে থাকে। মিশনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাউন্সেলরগণ যে সকল পদ্ধতি ব্যবহার করে তা হলো সিবিটি বা কগনেটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি (অবহিতিমূলক আচরণ ভিক্তিক চিকিৎসা) বা অন্যান্য বিহেভীয়ার থেরাপী, মটিভেশনাল ইন্টারভিউ (এমআই), কন্টিনজেন্সি ম্যানেজমেন্ট (রোগীকে শর্তসাপেক্ষে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা এবং চিকিৎসায় সম্পৃক্ত রাখা) ইত্যাদি। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারে একক কাউন্সেলিং, গ্রুপ কাউন্সেলিং, গ্রুপ থোরাপী প্রদান করা হয়ে থাকে।

মনো-সামাজিক শিক্ষা ও জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ : আমরা জানি, মাদক নির্ভরশীলতার কারণে একজন ব্যক্তি জীবন পরিচালনার দক্ষতাসমূহ হারিয়ে ফেলে। এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার অন্যতম প্রক্রিয়া হচ্ছে মনো-সামাজিক শিক্ষা। মনো-সামাজিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সামাজিক পরিবেশের সম্ভাব্য নেতিবাচক পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারে। এজন্য মিশন মনো-সামাজিক শিক্ষা ও জীবন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তির ক্ষমতায়ন, চাপ নিয়ন্ত্রণ, যোগাযোগ, সমস্যা সমাধানের ও পরিকল্পনা বিষয়ক দক্ষতা, মাদক গ্রহণের ক্ষতি, মাদক নির্ভরশীলতা ও মানসিক রোগ, কি ভাবে মাদকমুক্ত থাকা যায়, রাগ ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ, এইচআইভি/এইডস ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে থাকে।
নারকটিক্স এনোনিমাস (এন এ) মিটিং : বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের সেলফ হেলফ গ্রুপ আছে তাদের মধ্যে নারকটিক্স এনোনিমাস বা এন.এ এক ধরনের সেলফ হেলফ গ্রুপ। নারকটিক্স এনোনিমাস (এন এ) মাদক নির্ভরশীলদের চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে একটি পদ্ধতি। সুস্থতা প্রাপ্ত মাদক নির্ভরশীলদের নিজেদের সুস্থতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য এবং অন্য মাদক নির্ভরশীলদের সাহায্য করার মধ্যে দিয়ে নিজে সাহায্য গ্রহণ করাই সেলফ হেলফ গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে আমেরিকায় যা বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৩১টি দেশে এই কর্মসূচি চলমান আছে। যে সমস্ত রোগী স্বেচ্ছায় ভালো হতে চায় ও ভালো থাকতে চায় (“a desire to stop using”) তাদের জন্য এই পদ্ধতি উপযোগী।
নারকটিক্স এনোনিমাসে মূলত অনুসরণ করা হয় বারোটি ধাপ। কোন অসুস্থ ব্যক্তি নিজেকে সুস্থ করার জন্য এই বারো ধাপে কাজ করেন। এই ধাপগুলির মধ্যে রয়েছে আসক্তিজনিত সমস্যাকে স্বীকার করা, সাহায্য প্রার্থনা করা, নিজেকে মূল্যায়ন করা, গোপনীয়তা রক্ষা করে ব্যক্তির স্ব-উন্মোচন করা, মাদক গ্রহণকালীন সময়ে সে যে ক্ষতি করেছে তা পূরণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অন্য মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি যারা সুস্থ হতে চায় তাদের সহযোগীতা করার মাধ্যমে নিজে সুস্থ থাকা। যারা এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হতে চায় তাদের সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার প্রতি দৃঢ় আস্থা থাকা চাই।

যারা দীর্ঘদিন যাবত সুস্থ আছে তারা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে নবাগতের সুস্থ হতে সহায়তা করেন। কোন কোন গ্রুপ বা দল আছে তারা বার ধাপের পাশাপাশি যারা সুস্থ আছে তাদের জন্য সুস্থ থাকার বর্ষপূতি সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করে থাকে। প্রতিটি সদস্যের ব্যক্তিগত তথ্যসহ সকল বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। মিশনের কেন্দ্রে চিকিৎসায় থাকা কালীন ও চিকিৎসা পরবর্তীতে এনএ মিটিং এ অংশগ্রহণ করতে পারে।

চিকিৎসা পরবর্তী সেবা ও পরিচর্যা: মাদক নির্ভরশীলতা একটি জটিল, পুন:আসক্তি মূলক মস্তিস্কের রোগ বা A chronic relapsing brain disease হিসেবে বিশ্বে পরিচিত এবং এটিকে স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া হিসেবে ধরা হয়। মাদক নির্ভরশীলরা চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে সুস্থ থাকার জন্য বেশ কঠোর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় যা তাদের জন্য পুন:আসক্তির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি করতে পারে। যার জন্য মিশন চিকিৎসা কেন্দ্রের সেবা গ্রহণের পাশাপাশি চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রক্ষা ও প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী মনে করে। চিকিৎসা পরবর্তী সেবা হিসেবে রোগীরা এন এ মিটিং, কাউন্সিলিং এবং মিশনের সেন্টার সমূহ আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে। এছাড়া মনে রাখতে হবে –

  • পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া
  • ক্নিয়ন্ত্রিত ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করা জরুরী
  • রোগীর ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা : মিশন মনে করে চিকিৎসা সেবার সাথে সম্পৃক্ত পেশাজীবীদের পেশাগত মান ও দক্ষতার সাথে সাথে রোগীর তথ্যাবলীর গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর ব্যক্তিগত, সামাজিক পরিচয়, অসুস্থতা, পারিবারিক বিষয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল বিষয়েরই গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। দেশের আইনের পরিপন্থী নয় রোগীর জীবনের এমন কোন ঘটনা, ভবিষ্যতের পরিকল্পনা, সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়গুলিও গোপনীয়তার অন্তর্ভূক্ত। তবে দেশের আইনের পরিপন্থী এমন কিছু বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চাহিদা অনুসারে মিশন রোগীর তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকিবে।